কি ভাবে আপনার স্লো কম্পিউটারকে ফাস্ট করবেন:





আপনার কম্পিউটার কি হ্যাং বা স্লো হয়ে গেছে। কোন এ্যাপলিকেশেন ওপেন করার সময় বার বার not responding দেখাচ্ছে? । সো চিন্তা করার কোন কারন নেই আজ আপনাকে দেখাবে এই রকম দশটি কারন যার কারনে আপনার পিসি হ্যাং হয়ে যাচ্ছে  এবং এর সমাধান।

.কম্পিউটার হ্যাং হওয়ার একটি প্রধান করান হলো আপনার পিসির কনফিগারেশন । আপনার পিসিতে ব্যাবহৃত হার্ডওয়্যার গুলো যদি পুরানে অথবা কম ক্ষমতা সম্পন্ন হয় তাহলে এই সমস্যা টা বেশি দেখা দেয়। বর্তমানে সব কিছু আপডেট  হচ্ছে সেই তুলনায় যদি আপনার পিসি যদি আপডেট না হয় তাহলে এই সম্যায় পড়তে হয়। যাদের কম্পিউটারে এখনে ১/২ জিি  ram এবং duel core processer  এবং কম ক্ষমতা সম্পন্ন মাদার বোর্ড আছে তাদের এই কম্পিউটার হ্যাং সমস্যা হয়ে থাকে। সো ..অবশ্যই আপনার হার্ডওয়্যার গুলো আপটুডেট রাখার চেষ্টা করুন।

২. পিসি হ্যাং হওয়ার আর একটি কারন হলো আপনার সিস্টেম ডিস্ক এবং অনান্য ড্রাইভ অধিক পরিমানে পরিপূন থাকা। অধিক পরিমানে পরিপূর্ন থাকলে  এই সমস্যাটি দেখা দেয়।  এখানে সিস্টেম ডিস্ক বলতে বুঝায় যে ড্রাইভে আপনার অপারের্টিং সিস্টেমটি ইন্সেস্টল করেছেন। ডিফল্ট ভাবে ড্রাইভ সি তে ইনেস্টল হয়। ওটাকেই সিস্টেম ডিস্ক বলা হয়। সো সিস্টেম ডিস্ক সহ অনান্য ড্রাইভ গুলো যতটা সম্ভব ফাকা রাখার চেষ্টা করবেন। এবং unused ফাইল গুলো ডিলেট দিয়ে দিবেন।

৩. কম্পিউটার হ্যাং হওয়ার আর একটি কারন হলো অনেক দিন ধরে একটি অপারের্টিং সিস্টেম ব্যবহার করা। অনেক দিন ধরে  একই অপারের্টিং সিস্টেম ব্যবহার করা হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। সো মাঝে মাঝে অপারেটিং সিস্টেমটি চেঞ্চ করতে হবে। অপারেটিং সিস্টেমটি চেঞ্চ করার সময় মনে রাখতে হবে যে আপনার পিসি এর ক্ষমতা অনুযায়ি অপারেটিং সিস্টেমটি   ইন্সেটল করতে হবে। যদি আপনার ২ জিবি  ram হয় তাহেল আপনি windows 7 /windows 8 .32 bti operating system ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাত আপনার পিসির জন্য যে অপারেটিং সিস্টেমটি compatible সেই অপারেটিং সিস্টেমটি ইন্সেটল দিতে হবে। এতে কম্পিউটার কিছুটা ফাস্ট হবে।

৪. কম্পিউটার হ্যাং হওয়ার আর একটি প্রধান কারন হলো virus attack । যদি আপনি অনেদিন ধরৈ ইন্টারেট ব্যবাহর করে থাকেন তাহলে আপনার কম্পিউটারে malware এর attack  হতে পারে। শুধু ইন্টারনেট ব্যবাহার না । malware এর attack  হতে পারে পেনড্রাইড এবং usb এর মাধ্যেমে এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি ভালো মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হবে।


৫. অনেক দিন ধরে কম্পিউটার ব্যবহার এর ফলে কম্পিউটারে অনেক ধরনের ক্যাস, কুকিস, জাংক ফাইল তৈরি হয়। এসব কম্পিউটার হ্যাং করার আর এক কারন তাই যতটা সম্ভব এই ফাইল গুলো ডিলেট দিতে হবে।

এই ফাইল গুলো ডিলেট দেওয়ার জন্য  প্রথমে আপনার রান কমান্ড চালু করার পর টাইপ করুন prefetch then click ok । এরপর continue তে ক্লিক করতে হবে ।   দেখবেন যে অনেক ক্যাস ফাইল জমা আছে । কন্ট্রল প্লস a এর সাহায্যে সব গুলো সিলেক্ট করে সিফট প্রেস করে রেখে ডিলেট বাটনে প্রেস করতে ওকে তে ক্লিক করতে হবে তাহলে  এই ক্যাস ফাইল গুলো রিসাইকেল বিনে না গিয়ে সরাসরি ডিলেট হয়ে যাবে।
একই ভাবে রান কমান্ডে গিয়ে টাইপ করুন temp   এবার ওকে তে ক্লিক করুন। এরপর কন্টিনিউ তে ক্লিক করুন এরপর কন্ট্রল প্লাস a এর সাহায্যে সব ফাইল গুলো সিলেক্ট করে। সিফঠ প্রেস করে রেখে ডিলেট বাটনে প্রেস করে ডিলেট করে দিন।
এরপর আবার রান কমান্ড চালু করার পর টাইপ করুন %temp%      এবং ওকে তে ক্লিক করুন । এবং কন্ট্রল প্লাস এ এর সাহায্যে সব ফাইল গুলো সিলেক্ট করে  সিফট এর সাহায্যে ডিলেট করে দিতে হবে।
এরপর আপনার রিসেন্ট প্লেস গুলোর ক্যাস ফাইল গুলো ডিলেট করে দিন..

৬. আপনার কম্পিউটারকে ফাস্ট করার জন্য আপনাকে মাঝে মাঝে আপনার সিস্টেম ডিস্ককে ক্নিন আপ করতে হবে । আপনার কম্পিউটাররের সিস্টেম ডিস্ককে ক্লিন আপ করার জন্য আপনাকে সিস্টেম ডিস্কে লেফট বাটন ক্লিক করে প্রোপ্রাটিজে যেতে হবে । এর পর নিচে লেখা আছে clean up ওই খানে ক্লিক করতে হবে। এরপর কিছু সময় অপেক্ষা করাতে হবে…। তারপর সব গুলো মার্ক করে দেওয়ার পর ওকে কে ক্লিক করতে হবে..।  এরপর ডিলেটে  ফাইলসে ক্লিক করতে হবে।

7. কম্পিউটার এর পারফরমেন্স ফাস্ট করার জন্য টাস্ক ম্যানেজারে গিয়ে কিছু সেটিংস চেঞ্চ করতে হবে।  সেটিংস চেঞ্চ করার জন্য আপনার টাস্কম্যানেজার ওপেন করতে হবে । টাস্কম্যানেজার ওপেন করার জন্য আপনি ctrl + shift + Esc বাটন গুলো একসাথে প্রেস করুন। তাহেলে টাস্ক ম্যানেজার ওপেন হবে। এরপর ওই খানথেকে পাশের স্ট্যাটআপ ট্যাবে যেতে হবে। স্ট্যাটআপে যাওয়ার পর যেসব এ্যাপলিকেশন কম্পিউটার স্ট্যাট হওয়ার সাথে সাথে ওপেন হয় ওই সব এ্যাপলিকেশন ডিসেবল করে দিন। আর যখন ওই এ্যাপলিকেশন এর দরকার হবে তখন ওই এ্যাপলিকেশনে ডাবল ক্লিক করার সাথে সাথে আবার চালু হয়ে যাবে।

এরপর আবার পাশের প্রসেস ট্যাবে যান প্রসেস ট্যাবে যাওয়ার পর যে সব এ্যাপলিকেশন আপনার দারকার নেই অথচ আপনার কম্পিউটারের ব্যাকরাউন্ডে চলছে সেই গুলো সিলেক্ট করার পর ইন্ড টাস্কে ক্লিক করুন । এতে আপনার কিম্পউটার কিছুটা ফাস্ট হবে।

৮. কম্পিউটার হ্যাং হওয়ার আরো একটা কারন হলো অধিক পরিমানে আন ন্যাসেসারি সফটওয়্যার গুলো ইনেস্টল দেওয়া । সো আপনার কম্পিউটারের আন ন্যাসেসারি সফটওয়্যার গুলো আনইনেস্টল দিয়ে দিন।

৯. যারা ডেস্কটপ ব্যবহার করেন তারা যতটা সম্ভব ডেস্কটপ পরিষ্কার রাখার চেষ্ট করবেন । যাতে পিসিতে ধুলা বালি না যমতে পারি । ধুলা বালি জমার কারনেও কিন্তু পিসি হ্যাং হয়ে যায়।

১০. আর যদি আপনার ব্রাউজার স্লো হয়ে যায় তাহলে দেখুন যে আপনার ব্রাউজারে কোন আন ন্যাসেসারি কোন এক্সেটনশন বা অ্যাড ওনস ইন্সেটল করা আছে কি না। থাকলে আন  ইন্সেটল করে দিতে হবে। আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন এখানে


Share this

Related Posts

First